আশুলিয়ার ৭৯টি গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ

এবার আশুলিয়ার ৭৯টি গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ খোলা হবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব দ্রুত খোলার প্রসঙ্গে আশাবাদী অনেকেই। আজকে এই প্রতিবেদনের সে বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হচ্ছে অন্যান্য তথ্যগুলো।

বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়োজনের অন্যতম একটি খাত হচ্ছে গার্মেন্টস। গার্মেন্টস হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে শ্রমিকরা যেকোনো ধরনের পোশাক উৎপাদন করে এবং সেখানে নিয়োজিত থাকেন হাজার হাজার শ্রমিক। এখানে ছোট-বড় অনুসারে গার্মেন্টসের শ্রমিকের পার্থক্য ভিন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ বৈদেশ থেকে যে মুদ্রা অর্জন করে তার অধিকাংশের একটি অংশ জায়গা দখল করে রেখেছে এই গারমেন্টস। আমাদের দেশ ছোট হলেও গার্মেন্টস শিল্পের দিক থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। যার কারণে আমাদের রেমিটেন্স আসে এখান থেকে অনেক অংশ। যত দিন যাচ্ছে তত এই গার্মেন্টসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পোশাক উৎপাদন হচ্ছে। শুধুমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা নয় বরং দেশের অনেক বড় বেকারত্বের হার কমে দিয়েছে এই সেক্টর। বলা হয়ে থাকে প্র ায় ৮০ লক্ষের মতো গার্মেন্টস শ্রমিক রয়েছে সারা বাংলাদেশ জুড়ে। যারা সরাসরি নিয়োজিত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে এ সকল প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন হয় অধিকার আদায়ের জন্য ও বিভিন্ন কারণে। এইতো গত বছর আন্দোলনের মাধ্যমে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে নিল তারা অর্থাৎ শ্রমিকরা। তাদের সর্বনিম্ন মজুরি করে দেওয়া হয়েছে ১২৩০০ টাকা। এর মাধ্যমে তারা আবার ঘরে ফিরেছে এবং গার্মেন্টস শিল্পে যোগদান করেছে। এই চলমান ছিল এভাবেই। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন এত বিঘ্নিত ঘটছে সে বিষয় সম্পর্কে এখন তুলে ধরা হবে।

আশুলিয়ার ৭৯টি গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে এই গার্মেন্টসগুলোতে আন্দোলন হয়ে থাকে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। ইতিপূর্বে শুধুমাত্র তাদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন যা বাড়িয়ে দিয়েছেন তৎকালীন সরকার। কিন্তু আবার হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন বেড়ে গিয়েছে যার কারণে অনেকগুলো গার্মেন্টস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। কি বিষয় নিয়ে আন্দোলন হয়েছে তাই এখন আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে আপনারা এ বিষয় সম্পর্কে জানবেন এবং অন্যান্য তথ্যগুলো বুঝতে পারবেন এই পোশাক কারখানার প্ল্যাটফর্ম থেকে।

এবারের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেটি মূলত কোটা সংস্করণ আন্দোলনের পরে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের এবারের দাবি হচ্ছে হাজিরা বোনাস, টিফিন বোনাস এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে অধিকার আদায়ের। যাতে করে তাদের এই দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং খুব দ্রুত সমাধান করা হয় সে বিষয় নিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে। তার মাঝে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অনেক গার্মেন্টসগুলোতে সঠিক সময় বেতন দেওয়া হয় না। যার কারণে শ্রমিকরা অর্থ সংকটে পড়ে এবং বাসা ভাড়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে যায়। কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে যার কারণে কোম্পানি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে পোশাক দাও বেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে। যার কারণে আশুলিয়ার ৭৯ টি গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কবে নাগাদ খুলবে এ বিষয়টি এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হচ্ছে না।

এর আগে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গার্মেন্টস বন্ধ থাকার কারণে এখানকার শ্রমিকরা বেতন পাবে না যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোম্পানির পাশাপাশি শ্রমিকরাও। খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক গার্মেন্টস খোলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে করে গার্মেন্টস মালিকদের পাশাপাশি গার্মেন্ট শ্রমিকরাও লাভবান হয়ে যান। বেশিরভাগ গার্মেন্টস শ্রমিকরা এখানে ভাড়ায় থাকেন যার কারণে প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য খরচ হয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি কর্তৃপক্ষ থেকে।

Also: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

শুধুমাত্র গার্মেন্টস শ্রমিক না এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষতি হতে পারে ওই অঞ্চলের বাড়িওয়ালা ও দোকানপাটরা। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তিরা। কেননা তাদের কোম্পানি চলমান থাকলে এবং শ্রমিকরা বেতন পেলেও তাদের ব্যবসায় লাভবান হয়। তাই এ বিষয়ে মাথা রেখে আশুলিয়ার গার্মেন্টসগুলোকে দ্রুত খুলে দেওয়া এবং সকল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অনুরোধ সবার।

Leave a Comment