ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করার উপায় । সেভাবে স্পিড বৃদ্ধি করবেন

দুর্দান্ত একটি ট্রিকস আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করা হচ্ছে। আপনারা যদি ট্রিকস অনুসরণ করেন তাহলে আপনার ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করতে পারবেন। সেটিই হোক আপনার মোবাইলে কিংবা কম্পিউটার ডিভাইসে যেকোনো একটির মধ্যেই।

এখন খুব বেশি সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকের যে কম সমস্যা সেটি হচ্ছে ধীরগতিতে ইন্টারনেট চলাচল করে থাকে। এই ধীর গতি ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিরক্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন ধরনের অফিস আদালতের কাজ করে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন। এছাড়াও যারা গেম খেলতে পছন্দ করে তাদের ক্ষেত্রে যদি এই সমস্যাটি সৃষ্টি হয় তা অনেক ভোগান্তির। সবাই চায় হাই স্পিডের ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু অনেক সময় শুধুমাত্র ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে দীর্ঘ হয় না। ডিভাইসের নানা ধরনের সমস্যার কারণে এই ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। তাই আজকে আপনাদের সামনে এই সকল ট্রিক্স নিয়ে হাজির হয়েছি। যাতে করে এখান থেকে আপনারা এ সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করে চালাতে পারেন। আর এখান থেকে আপনারা যা যা জানতে পারবেন।

ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করার উপায়

ক্যাশ ও ব্রাউজিং হিস্ট্রি ক্লিয়ার করুন
ব্রাউজারে জমে থাকা ক্যাশ এবং ব্রাউজিং হিস্ট্রি অনেক সময় ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ক্যাশ ক্লিয়ার করলে এবং ব্রাউজিং হিস্ট্রি মুছে দিলে ব্রাউজারের কার্যক্ষমতা বাড়ে, যা স্পিড বৃদ্ধিতে সহায়ক।

এড ব্লকার ব্যবহার করুন
অনেক ওয়েবসাইটে থাকা বিজ্ঞাপন আপনার ইন্টারনেট স্পিডকে ধীর করে দেয়। বিজ্ঞাপনগুলি লোড হতে সময় নেয় এবং পেজ লোডিং টাইম বাড়ায়। এড ব্লকার ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন বন্ধ করলে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের স্পিড বৃদ্ধি পেতে পারে।

ইন্টারনেট স্পিড পরীক্ষা করুন
ইন্টারনেটের প্রকৃত স্পিড কত তা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। অনেক সময় আপনার ইন্টারনেট স্পিড আপনার প্যাকেজের থেকে কম হতে পারে। এজন্য স্পিড টেস্ট ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিড চেক করুন এবং যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ইন্টারনেট প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করুন।

রাউটার রিস্টার্ট করুন
ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর অন্যতম সহজ উপায় হলো আপনার রাউটার রিস্টার্ট করা। অনেক সময় দীর্ঘ সময় রাউটার চালু থাকলে তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। রাউটার বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার চালু করলে নেটওয়ার্ক রিফ্রেশ হয় এবং স্পিড বাড়তে পারে।

রাউটারের স্থান পরিবর্তন করুন
রাউটারের অবস্থানও ইন্টারনেট স্পিডে প্রভাব ফেলে। রাউটার যদি ঘরের কোনায় থাকে বা দেয়ালের আড়ালে থাকে, তাহলে সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে। রাউটারকে মাঝখানে স্থাপন করে, খোলা জায়গায় রাখলে সিগন্যাল শক্তিশালী হবে এবং ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি পাবে।

ডিএনএস সেটিং পরিবর্তন করুন
কিছু ক্ষেত্রে ডিফল্ট ডিএনএস (DNS) সার্ভার ধীর হতে পারে। গুগল পাবলিক ডিএনএস বা ওপেনডিএনএস এর মতো ফ্রি এবং দ্রুতগতির ডিএনএস ব্যবহার করে আপনি ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে পারেন।

কেবল কানেকশন ব্যবহার করুন
ওয়াই-ফাই এর চেয়ে কেবল কানেকশন বেশি স্থিতিশীল ও দ্রুতগতির হয়ে থাকে। যদি সম্ভব হয়, রাউটারের সাথে সরাসরি ইথারনেট কেবল দিয়ে সংযোগ করুন। এটি ওয়াই-ফাই এর তুলনায় কম লেটেন্সি দেয় এবং স্পিড উন্নত করে।

ইন্টারনেট প্যাকেজ আপগ্রেড করুন
আপনার ইন্টারনেট স্পিড যদি কম হয় এবং উপরোক্ত উপায়গুলো কাজ না করে, তবে আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজ আপগ্রেড করা প্রয়োজন হতে পারে। ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের অনেক ধরনের প্যাকেজ রয়েছে, যার মধ্যে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী দ্রুতগতির একটি প্যাকেজ বেছে নিতে পারেন।

আপনারা এখানে দেখলেন ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি করার উপায়। আরো সকল দুর্দান্ত টেকনোলজি টিপস জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন। কেননা আমাদের এখানে তুলে ধরা হয়ে থাকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদন।

Leave a Comment