আজকে আমরা ভারতের কলকাতাবাসীদের বাজার সম্পর্কে জানব। সাধারণত তারা কিভাবে বাজার করে থাকে এবং কি কি কেনাকাটা থাকে সে বিষয় নিয়ে। যাতে করে আপনারা এখান থেকে জানতে পারেন এবং বুঝতে পারেন তাদের জীবনযাত্রার মান ও অন্যান্য তথ্যগুলো নিয়ে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকটবর্তী দেশ হচ্ছে ভারত। আর এই ভারতের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে বহু আগে থেকেই। ভারতের একটি অংশ হচ্ছে কলকাতার যা আমাদের নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে। আমাদের জীবনযাত্রা ও তাদের জীবনযাত্রার মধ্যে অনেকেই রয়েছে। যেমন তাদের ভাষা বাংলা আমাদের ভাষা বাংলা। খাদ্য এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে তাদের। দেশ ভাগের পূর্বে অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসনের সময় পুরো বাংলা ছিল এক অর্থাৎ ভারতবর্ষে ছিল সম্পন্ন একটি। যার কারনে অনেক মিল রয়েছে এই দুই দেশের দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে। তবে কিছু কিছু বিষয় পার্থক্য রয়েছে যা তাদের জীবনযাত্রার বেশ অমিল। তাদের জীবনযাত্রা দেখতে এবং তাদের এখানে ঘুরতে চায় আমাদের দেশ থেকে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ সেখানে। বেশ কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ামে তাদের জীবন যাত্রা সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
তবে এখানে সমালোচনা সংখ্যায় বেশি এবং বিপরীত দিকে আমাদের দেশের বিষয় নিয়েও তাদের এখানে আলোচনা হচ্ছে। কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং এতে ভালো নাকি মন্দ তা জানানোর চেষ্টা করব। যাতে করে আপনারা এ বিষয়ে পরিষ্কার একটি ধারনা দিতে পারেন।
কলকাতাবাসীদের বাজার করার পরিস্থিতি
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে এ সকল বিষয় নিয়ে। বিশেষ করে তাদের বাজার করার পদ্ধতি গুলো বেশি আলোচনা হচ্ছে আমাদের দেশগুলোতে। অনেকে আবার ট্রল করে অথবা মজা করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করছে। বেশ কয়েকটি কলকাতার ব্লগিংয়ে দেখা দিচ্ছে তারা আজকের সে অল্প পরিমাণে। যেখানে দেখা যায় তারা ৫০ টাকার ইলিশ কিনে সেখানে দশ টুকরো করছে। আবার অনেকে ৫ – ৬ কেজি ওজনের মাছের থেকে মাত্র ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত মাছ নিচ্ছে লেজের দিক থেকে। এই বিষয়টি নিয়ে বেশি ট্রল হচ্ছে সে বিষয়টি নিয়ে।
এছাড়াও কাঁচা বাজারের ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে অল্প পরিমাণে বাজার করা। চাও আমাদের দেশে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি কেনা হয়ে থাকে। এছাড়াও অতীতে আপানের বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আর আলোচনা হচ্ছে। এরকমের বেশ কিছু সততা পাওয়া গিয়েছে ইন্ডিয়ান থেকে। জানা গেছে তারা সত্যিই এমন করেন এবং তারা অল্প পরিমাণে বাজার করে থাকেন। আর অতিথি আপ্যনের ক্ষেত্রে অনেকে কৃপণতা অবলম্বন করল আবার অনেকে এ বিষয়ে সচেতন।
আরে এ বিষয়টি নিয়ে এখন ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে কলকাতাবাসীদের বাজার করার পরিস্থিতি নিয়ে তারা মোটেও বিচলতমান। আমাদের দেশে অনেকে বলেছেন তাদের নিয়ম কানুন যথেষ্ট উপযোগী। কেননা এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে সবাই ইলিশ মাছ খেতে পারে এবং সবাই মাছ মাংস খেতে পারেন। কেননা আমাদের দেশে অল্প পরিমাণে অথবা এমন ভাবে কেটে মাছ বিক্রি করা হয় না। যার কারণে অনেকে বড় মাছ খাওয়ার স্বাদ পায় না এবং মাংস খেতে পারেন না। যদি এ পদ্ধতি আমাদের দেশে করা হয়ে থাকে তাহলে অনেকেই সকল কিছু খেতে পারবেন আরামদায়িকভাবে।
আর প্রতিনিয়ত তাজা জিনিস খাওয়া যায় অল্প পরিমাণে কিনে প্রতিদিন বাজার করে। এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা করিয়াছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ও তারা নিজেরাও বলেছেন এই কথাটি। তাহলে কোন ভেদাভেদ থাকবেনা সবাই যার যার প্রয়োজন মাফিক কিনতে পারবে। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অপচয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। যা প্রচুর প্রশংসা করেছে সাধারণ মানুষের কাছে।
তবে হ্যাঁ কোন বিষয়ে কৃপণতা করা উচিত নয়। ভারসাম্য বজায় রেখে সকল বিষয়গুলো এবং বাজার করা উচিত। যাতে করে পরিবার সুস্থ সকল থাকে এবং আত্মীয় স্বজনের প্রতি আমরা সদয় হতে পারি। কেননা তারাই আমাদের আপনজন।