আবার শুরু হয়েছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার আন্দোলন। এটি চলমান রয়েছে এমনকি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তার মাধ্যমে এ বয়সটি পরিপূর্ণ করা হবে বলে জানানো হচ্ছে। আসুন এই বিষয় সম্পর্কে আমরা তথ্যগুলো দেখি আগে সবার আগে।
সরকারি চাকরি করার স্বপ্ন সবারই থাকে। যদিও এটা সোনার হরিণ কিন্তু আগ্রহ সবার থাকে কেননা এখানে রয়েছে স্থায়িত্বতা। একবার চাকরি পেয়ে গেলে সেটি হারানো সম্ভাবনা খুবই তো কম থাকে। আর নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত করা যায় বলে অনেকে এখানে চাকরি করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটা হচ্ছে চাকরি করার দীর্ঘ স্থায়িত্ব এবং এককালীন পেনশন সুবিধা রয়েছে। যার কারণে অনেকের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য বেশি জোরালো হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিটি এখন এই ধরনের চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলে। কেননা একটি সিটের বিপরীতে আবেদন করে প্রায় কয়েক হাজার প্রার্থী। এই হাজার হাজার প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দিতা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। কিন্তু এখানে বেশ সীমাবদ্ধতা রয়েছে যার কারণে সবাই চাকরি পায় না।
প্রত্যেকটি পদের জন্য যেমন আসন সংখ্যা রয়েছে ঠিক তেমনভাবে রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা। শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি অন্যতম একটি যোগ্যতা হচ্ছে বয়স। একজন প্রার্থী প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছর না হলে এখানে আবেদন করতে পারেন না। বিপরীত দিকে একজন প্রার্থীর বয়স যদি ৩০ বছরের বেশি হয় তাহলে সেও আবেদন করতে পারে না। অর্থাৎ বয়সের এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাময়িক বাহিনীতে কিছু জায়গায় রয়েছে যেখানে ২৪ বছর পর্যন্ত কিংবা ২২ বছর পর্যন্ত নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই বয়স হতে হয় ২০ বছর পর্যন্ত। মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের জন্য এই বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার আন্দোলন
এ আন্দোলন শুধুমাত্র আজকে থেকে নয় প্রায় কয়েক বছর ধরেই চলমান রয়েছে। আর এই চলমান আন্দোলন আর তীব্র হতে যাচ্ছে যতদিন তত। আন্দোলনকারীদের দাবি তাদের এই বয়স ৩০ থেকে ৩৫ করা হয় যাতে করে তারা আরও বেশি সুযোগ পেয়ে যান। অনার্স করার পর বেশি একটা সময় পাওয়া যায় না চাকরির প্রস্তুতির জন্য। এরপরেই কয়েকটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর দেখা যায় প্রার্থীরা বয়সের কারণে আর আবেদন করতে পারে না আর বড় ধরনের সুযোগ করে ফেলেন তারা। তাই তাদের দাবি যাতে করে ৩৫ করা হয় আর তারা চাকরির সুযোগ সুবিধা পেয়ে যান।
আবার অন্য দিকে কিছু শিক্ষার্থীরা বলছে যদি বয়স ৩৫ না করা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে অনার্সের সেশন জট কমে দেওয়া। কেননা দেখা যায় অনেক সময় অনার্স কমপ্লিট করতে লেগে যায় ৫ থেকে ৬ বছর। যা শিক্ষার্থীদের প্রচুর সময় নষ্ট করে আর মুখের দিকে এগিয়ে যায় চাকরির প্লাটফর্মে। অনেকের দাবি বয়স বৃদ্ধি করা হলে বেকারত্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। কেননা অনেকে চাকরি প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বেকার থেকে যায়। এ বিষয়টিও অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন কিছু মানুষেরা।
তবে এখন সবার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এর দাবিটা এগিয়ে যাচ্ছে। আর তারা বিভিন্ন কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছেন। কিন্তু এটা কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে সেটি এখন পর্যন্ত বলার বাইরে। পরবর্তী কর্মসূচি অনুসারে এর পরিস্থিতি বিরাজমান পাওয়া যাবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ব্যাপারে কোন কথা বলেনি। আধারকারীরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই তাদের এই ব্যাপারে তারা বিবৃতি জানাবে এবং দাবি মেনে নিবে। এর সর্বশেষ খবর কোন পর্যন্ত যায় তা জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং দেখে নিন পরবর্তী নিউজগুলো।
এছাড়াও দেশে রয়েছে চলমান বেশ কিছু নিউজ। আর এই নিউজগুলো আপনারা যারা জানতে চান এবং বুঝতে চান তারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে অবস্থান করুন এবং দেখে নিন আপডেট। প্রয়োজনে আমাদের ওয়েবসাইট বৌমার করে রাখুন এবং দেখে নিন নোটিফিকেশন।