টেলিগ্রাম চ্যানেল কিভাবে কাজ করে থাকে

টেক বিষয়ক আলোচনায় আজকের প্রসঙ্গে থাকছে টেলিগ্রাম চ্যানেল কি এবং এর থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটি নিয়ে। সঙ্গে জানতে পারবেন এখানে গ্রুপ করে বিভিন্ন ধরনের সোর্স কালেকশন করা যায় তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কমিউনিকেশন এড হিসাবে হাইপ হয়েছে টেলিগ্রাম। গত তিন বছরে এতটাই এর বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে যে এখানে প্রায় কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রত্যেক বছরে। হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কমিউনিকেশন অ্যাপ কে আধুনিক হচ্ছে অনেক ধরনের তথ্যগুলো। বলা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে টেলিগ্রাম হয়ে উঠবে সেরা দশের তালিকায় কমিউনিকেশন হিসাবে। আর যদি আমরা ইনকামের দিক থেকে চিন্তা করি তাহলে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে।

কিন্তু অবাক করার বিষয় যে এত বড় কমিউনিকেটিভ অ্যাপটি নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র ১০০ তোর কম মানুষ। এখানে যুক্ত রয়েছে প্রায় কয়েক হাজার বর্গ যারা অটোমেটিক ভাবে এখানকার কাজ করে থাকে। অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে এটি বেশি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মেসেজ সেন্ডিং থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কাজ এটি অটোমেটিক ভাবে করে। যার কারণে খুব দ্রুত এবং ফাস্ট এর সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়। এরমধ্যে আনলিমিটেড ফ্রি স্টোরেজ পাওয়া যায় যার কারণে ছবি থেকে শুরু করে বড় বড় মুভি ফাইল পর্যন্ত এখানে শেয়ার করা হয়। বিশেষ করে শেয়ারিং হ্যাপ হিসেবে এটি বেশি জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময়ে। আসলে এখন আমরা এ সংক্রান্ত কিছু বিষয়গুলো দেখে নেই।

টেলিগ্রাম চ্যানেল কিভাবে কাজ করে থাকে

যদিও এটি একটি কমিউনিকেশন অ্যাপ তবুও এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব। এজন্য কিছু ট্রিকস এবং টিপস গুলো ভালো করতে হবে। এখান থেকে সকল কিছুর পাশাপাশি এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। এজন্য কিছু কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এই ধরনের চ্যানেল কি তা সম্পর্কে আমরা প্রথমে জানব।

Telegram Channel System

এখানে নিজের কমিউনিকেশনের পাশাপাশি গ্রুপে কাজ করা যায়। যাকে বলা হয়ে থাকে চ্যানেল। চ্যানেলের দুইটি পদ্ধতি রয়েছে একটি হচ্ছে প্রাইভেট চ্যানেল এবং আরেকটি হচ্ছে পাবলিক চ্যানেল। প্রাইভেট চালানো হচ্ছে যেখানে এডমিন কাজ করতে পারবে শুধু আর বাকি সবাই দেখতে পারবে। আবার পাবলিক চ্যানেল হচ্ছে যেখানে সবাই উন্মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং দেখতে পারবেন। যে কেউ এখানে মেসেজ করতে পারবে এবং অন্যান্য ফাইলগুলো সেন্ড করতে পারবে। তবে এই সকল চ্যানেল থেকেও প্রচুর পরিমাণে অর্থায় করা যায়।

অর্থ আয় করার অন্যতম উপায় হচ্ছে এখানে বিভিন্ন ধরনের ফাইল শেয়ার করা অথবা লিংক শেয়ার করা। কেননা একটি চ্যানেলে যদি দশ হাজার নাম্বার থেকে তার মধ্যে ১০০০ যদি ক্লিক করে তাহলে এখান থেকে পরিমাণ রেভিনিউ আনা সম্ভব হয়। আবার এখানে ভিডিও আপলোড করে এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে আয় করা যায়।

বিশেষ করে যারা টেলিগ্রাম বট ব্যবহার করেন অথবা তৈরি করেন। এখানে এয়ার ড্রপ পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণ উপার্জন করা সম্ভব হয়। যেমন বেশ কয়েকদিন হ্যামস্টার কনভার্ট, ডগস কয়েন এবং ইত্যাদিগুলো পাওয়া গেল। এ সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে মাসের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা একদম সহজ উপায়।

তবে হ্যাঁ কোন ধরনের ইলিগ্যাল কাজ করা যাবে না। এতে করে টেলিগ্রাম চ্যানেল ব্যান সম্ভাবনা রয়েছে। তবে টেলিগ্রাম চ্যানেলে হায়েস্ট সিকিউরিটি দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ শতভাগ নিশ্চিত থাকে এখানে সকল তথ্যগুলো। কেননা এগুলো বটের মাধ্যমে কাজ করে থাকে যা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা একদমই কম থাকে। আপনারা ওই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে তারপর এখান থেকে আয় করার সুযোগ নিতে পারেন।

Leave a Comment