নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল । এড়িয়ে চলার নতুন কৌশল

কিভাবে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন সে বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল লিখা হচ্ছে। অর্থাৎ এই প্রতিবেদন করলে আপনারা যান নিজেদেরকে অনেকটা সংযম করতে পারবেন এই প্রতিবেদন শেষ পর্যন্ত পড়লে এবং তদাঅনুযায়ী মেনে চললে।

রাগ কন্ট্রোল দিয়ে বেশ কিছু ভাইরাল হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ক্যাপ্টেন আশিকের বিষয়টি নিয়ে অনেকেই এরকম ভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন। মূলত সেনাবাহিনী এর কর্মকর্তা একটি বিষয় নিয়ে একটি মেয়ের সাথে কথা বলেন। সেখানে মেয়েটিকে উত্তেজিত অবস্থায় কথা বলতে দেখা যায় এবং সম্পূর্ণ পরিস্থিতি শান্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এই সেনা কর্মকর্তা। মাথা ঠান্ডা রেখে সকল কিছু শুনে এবং বিষয়গুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আর তার এই দক্ষতাকে সম্মান জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেনা গৌরব পুরস্কার দেন থাকে। আর সেখান থেকে অনেকে চান তার মত এভাবে নিজেকে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে। যাতে যে কোন পরিস্থিতিদেরকে নিজেকে শান্ত রাখা যায় এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। আমরা চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা নিজেদেরকে এভাবে শান্ত রাখবেন এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণের রাখতে পারেন। বিভিন্ন বিষয়ে এবং অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নিয়েই আজকের এই টিপস এবং টিপস শেয়ার করা হচ্ছে আপনাদের সামনে। সকল টিপস এবং ট্রিক্স গুলো দেখে নেই।

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল

এখন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধাপ এবং টিপস দেওয়া হবে। এইগুলা মেনে চললে খুব সহজে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে অনেকাংশ।

কথা বলার আগে ভেবে

একটি প্রবাদ আছে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না। ঠিক কথা বলার সময় এ বিষয়টি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। কারণ মুখ দিয়ে একবার কথা বের হয়ে গেলে সেটি ফিরে আনা সম্ভব হয় না। পরিস্থিতি এবং অন্যান্য পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনা করে তারপর কথা বলতে হবে। তাই যে কোন কিছু এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে বলার পূর্বে অবশ্যই সে বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তারপর সাময়িকভাবে কিছু সময় নিয়ে এবং ভেবে চিন্তে উত্তর দিন যদি সেটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হয়। আর যদি সেটি রাগান্বিত বা অন্যান্য বিষয় থাকে তাহলে অবশ্যই ভেবেচিন্তে কথা বলবেন। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বি রেগে না গিয়ে আরও শান্ত হয়ে যায়।

চুপ হয়ে যান

যখন আপনি কোন প্রতিদানের সামনে রেগে যাবেন তখন প্রথম আপনার কাজ হচ্ছে চুপ হয়ে যাওয়া। ততটা সম্ভব খোলা জায়গার দিকে তাকান এবং নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। যখন মাথা ঠান্ডা হবে তখন ধীরে ধীরে প্রতিদ্বন্দ্বের সাথে কথা বলুন এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনুন। সে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এবং বিষয়। এটি নিজেকে মেইনটেইন করে চলতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে তাদের অনেকটা রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। কারণ নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ভিতরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। তার কারণে সহজে রেগে যায় না এবং সবকিছু সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তাই বেশি বেশি ব্যায়াম করুন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে স্বতঃস্ফূর্ত রাখুন।

সমস্যার সমাধান খুঁজুন

হঠাৎ করে রেগে না গিয়ে আপনার যদি ওই সমস্যার সমাধান খোঁজেন তাহলে খুব সহজভাবে বিষয় হ্যান্ডেল করা যায়। এজন্য প্রথমে সময় নেন এবং সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন। সমাধান খুঁজে পেলে উভয় পরিস্থিতি সহজে সমাধান হয়ে যাবে।

ক্ষমা করতে শিখুন

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ তখনই করতে পারবেন সবচেয়ে ভালোভাবে যখন আপনি ক্ষমা করতে শিখবেন। সারা বিশ্বজুড়ে একটি প্রবাদ রয়েছে সেটি হচ্ছে ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। যে ব্যক্তি নিজেকে এবং অন্যকে ক্ষমা করে দেয় সে সবচেয়ে মহৎ ব্যক্তি। যখন আপনার কারো উপর রাগ হবে তখন যদি থাকে আপনি ক্ষমা করে দেন তাহলে দেখবেন আপনার রাগ নেই। তার কাছেও আপনি অনেক ভালো এবং মহৎ হবেন যা পরবর্তীতে বন্ধুত্বের সৃষ্টি হবে।

Leave a Comment