আন্দোলনের পর এবার আবারো চালু হয়েছে পোশাক কারখানা গুলো। অনেকদিন বন্ধ থাকার পর নতুন করে আবার শুরু হয়েছে আসলে সহ বিভিন্ন অঞ্চলের গার্মেন্টসগুলো। এখানে পূর্বের মতো তারা কাজ করে যাচ্ছে এবং সকল বিষয় চলমান ভাবে ঠিক রয়েছে।
বিদেশের রপ্তানিকারক উৎপন্ন গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প অর্থাৎ পোশাক। প্রতিবছর এগুলো রপ্তানি করে বিদেশ থেকে প্রায় কয়েক বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করে নিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষরা। গার্মেন্টসে শুধুমাত্র দেশ এবং গার্মেন্টস মালিকরা লাভবান হচ্ছে না এখানে লাভবান হচ্ছে পোশাক শ্রমিকরাও। ২০২৩ সালের তথ্য অনুসারে জানা যায় এখানে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ মানুষের মতো সরাসরি ভাবে যুক্ত রয়েছে কর্মসংস্থানের জন্য। এর জন্য বাংলাদেশ থেকে বেকার সমস্যা অনেকটার কমে গিয়েছে। অনেক তীব্র পরিমাণে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে গার্মেন্টসে আন্দোলন হয়ে থাকে। যখন গত বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাসে আন্দোলন হল বেতন বৃদ্ধির জন্য। মূলত সেটি ছিল ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া। সর্বনিম্ন মজুরি তাদের বৃদ্ধি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এরপর তা মেনে নেওয়া হয় এবং কার্যকর করে দেওয়া হয়।
এরপর তাদের ন্যূনতম মজুরি করা হয় থাকে 12500 টাকা। কার্যকর হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মার্চ থেকে এর কার্যকর করা হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে অনেকেই ওভারটাইম সব বেতন পায় পূর্বে তুলনায় বেশি। এই আন্দোলনে প্রায় কয়েকজন পোশাক শ্রমিক নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন। অর্থাৎ আন্দোলন এবং আহত নিহতের মাধ্যমে এ জয় আসে তাদের এবং অধিকার আদায় করে নেন।
পোশাক কারখানাগুলো ফের চালু হয়েছে
আবারো গত মাসের শেষের দিক থেকে এখন পর্যন্ত আন্দোলন চলমান ছিল। এই আন্দোলনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সঠিক সময় বেতন প্রদান করা। হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি করা এবং ১৫ মিনিট লেট করলেও হাজিরা বোনাস দেওয়া। এছাড়াও টিফিনের টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি বা উন্নত মানের খাবার দেওয়া দিতে হবে এই বিষয়গুলো। অর্থাৎ এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই তারপরে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছিল।
এই আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস ভাঙচুর হয়েছে আবার অনেক আহত হয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। যার কারণে আশুলিয়াতেই প্রায় ১২৮টির মতো গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টস গুলো বন্ধ করতে শুরু করে। কিন্তু আবার নতুন করে পোশাক কারখানাগুলো ফের চালু হয়েছে। কেননা এর মধ্যে অনেকেই বেতন পাবেন না যে সকল গার্মেন্টসগুলো বন্ধ ছিল। যার কারণে অনেকেই যোগদান দিয়েছে আর আরো অনেক জায়গায় তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গার্মেন্টস অনুসারে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে শুক্রবারে অনেক গার্মেন্টসগুলো খোলা রাখা হয়েছে যাতে পরবর্তী কাজগুলো করানো সম্ভব হয়।
কেননা বলা হয়েছে যদি গার্মেন্টস মালিক বাচে তাহলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাঁচবে। এত করে তা উভয়পক্ষ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন করবে বলে আশা করছেন অনেক। তবে যাই হোক পরবর্তী সময়ে যেন এরকম কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে থাকারও আহবান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সবাইকে। কারণ দেশের অর্থনৈতিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ এই হচ্ছে এটি। যেখানে সবারই নজর দেওয়া এবং গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
More: বৃষ্টির আবহাওয়া খবর