সরকারি চাকরি নিয়োগ পদ্ধতি । সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্কুলার ২০২৪

এখন সরকারি চাকরি নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হবে। অর্থাৎ কিভাবে একটি সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে আর কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে সে বিষয়ে
বিশেষ করে তারা সরকারি চাকরি প্রিপারেশন নিচ্ছেন তাদের জন্য এই প্রতিবেদন অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে কার্যকর দিবে।

আমাদের দেশের সরকারি চাকরির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে অনেক বেশি। এই চাকরি কে কেন্দ্র করে কোটা সংস্করণ আন্দোলন করা হলো। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা এই চাকরির জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে প্রায় কয়েক বছর। বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির রয়েছে। যদিও পূর্বে ছিল ৬৫% এখন তার নামে আনা হয়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। মূলত বহু জীবন এবং রক্তের বিনিময়ে এই আন্দোলন সফল হয়েছে। আর চূড়ান্তভাবে কোটা সংস্করণ করা হয়েছে এই পর্যায়ে পর্যন্ত। এছাড়া বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের বড় কয়েকটি কোন অভ্যুত্থানের মধ্যে অন্যতম ছিল এটি।

আবার চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয় সেটি হচ্ছে বয়স। বর্তমানে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য বয়স ত্রিশ বছর পর্যন্ত প্রযোজ্য। আর মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য প্রার্থীদের জন্য ৩২ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন প্রার্থীরা দাবি করছে এ বয়স ৩৫ বছর করার পর্যন্ত। যাতে করে তারা বেশি সময় পর্যন্ত সুযোগ পায় এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এ বিষয়টি নিয়ে আবার তর্ক বিতর্ক উভয় হচ্ছে। কারণ অনেকেই বলছে যদি বেশি বয়স দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে অনেক ফ্যামিলি নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ ফ্যামিলির মধ্যবিত্ত এবং গরিব। যার কারণে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যদি পাশাপাশি অন্য চাকরি না করতে পারে সে ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়। পক্ষ-বিপক্ষ ও ভয় থাকলে এটা নিয়ে বেশ আন্দোলন হয়ে আসছিল। তবে এর ফলাফল এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

সরকারি চাকরি নিয়োগ পদ্ধতি

যখন একজন প্রার্থীকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয় তখন তাকে বেশ পদ্ধতি অবলম্বন করে যেতে হয়। কেননা একটি পদের জন্য প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা করে থাকেন। এজন্য একটি কর্তৃপক্ষ প্রথমে সার্কুলার প্রকাশিত করা হয়। সার্কুলার উল্লেখ থাকে আরো কতজন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে, ‌ কি কি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে একজন প্রার্থীকে কোন পদের জন্য। এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে দেখতে হয়। যদি এ বিষয়গুলো ভালোভাবে না জানা থাকে তাহলে কোন প্রার্থী আবেদন করতে পারবে না।

কেননা যদি নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন না থাকে তাহলে প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। যার কারণে এই বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। একই সঙ্গে দেওয়া থাকে অন্যান্য যোগ্যতা। যেমন শারীরিক কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন থাকলে সে যোগ্যতা দেখে নিতে হবে এবং তদ অনুযায়ী প্রার্থীকে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এরপর দেখতে হবে অন্যান্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়েছে কিনা। যেমন কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা উল্লেখ রয়েছে কিনা কিংবা অন্যান্য স্পেশাল স্কেল থাকতে হবে কিনা। এ সকল বিষয় উল্লেখ করে এবং জানার পরে তারপর আবেদন করতে হবে।

বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি চাকরি নিয়োগ পদ্ধতি বেশ পরিবর্তন করা হয়েছে। যেমন অধিকাংশ আবেদনগুলো অনলাইন পদ্ধতিতে করতে বলা হয়। যে পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে কেবলমাত্র ঐ সকল পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। যদি ওই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন না করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। তবে বর্তমানে অনলাইন আবেদনপক্ষে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এর বাইরে কোন পদ্ধতি জানা যাবে না তো আবেদন করা যাবে না।

সকল বিষয়ে এবং পদ্ধতি গুলো বিবেচনা করে তারপর থেকে এডমিট কার্ড দেওয়া হবে আবেদন করার পর। এরপর সেখানে দেওয়ার কেন্দ্র অনুসারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কিছু পরীক্ষায় প্রথমে প্রিলিমিনারি অনুষ্ঠিত হয় তারপর লিখিত এবং সর্বশেষ ভাইভা হয়। আবার সরকারি চাকরি নিয়োগ পদ্ধতিতে প্রাকটিক্যাল কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে কম্পিউটার অপারেটরে যারা নিয়োগ পায় তাদের।

Leave a Comment