এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। আর এ বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে গেছে এমনকি নিউজ হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এখন আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তার পূর্বে আমরা জানানোর চেষ্টা করব বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ 15 বছর শাসনের পর তাদের অবসান ঘটে। এরপর ক্ষমতা হাতে নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মূলত বিগত সরকারের পতন ঘটে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মাধ্যমে। দীর্ঘ সময়ের মধ্য দিয়ে কোটা আন্দোলন কার্যক্রম চলমান ছিল। এরপর ২০২৪ সালের প্রথমদিক থেকে আন্দোলন তীব্র হতে শুরু করে। বিশেষ করে জুন জুলাই মাসে এই আন্দোলন অনেক বেশি জোরালো হয় আর এগিয়ে যেতে শুরু করে। এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং অন্যান্য দলের সমর্থক বিচারে গলি চালায় এবং অনেক শিক্ষার্থীরা আহত হয়। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা না এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষরাও আহত হয় এবং নিহত হয়েছেন প্রায় কয়েক শতাধিক মানুষ। এরপর ৫ আগস্টের সরকারের পতন হয় এবং পরবর্তী সময় থেকে নতুন সরকার ক্ষমতা আসেন। নতুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাকেন আরো অন্যান্য উপদেষ্টা। যারা সবাই মিলে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ক্ষমতার এক মাস না যেতেই দেখা যায় দুর্যোগ অর্থাৎ তাকে থেকে দুর্যোগ দেখা যায় আমাদের দেশে। ফারাক্কা বাঁধ এবং অন্যান্য ভাত খুলে দেওয়ার কারণে ফেনী, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা শহর বিভিন্ন অঞ্চলগুলোতে প্রচুর বন্যার সৃষ্টি হয়ে যায়। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়া সহজ প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় তাদের। এদের মধ্যে বাংলার সাধারণ মানুষেরা একে অপরের সাথে কাজ মিলে এ সমস্যার সমাধান করে আসছে।

২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

এই বিপর্যয়ের মধ্যেও দেখা গিয়েছে বিগত এক মাসে তহবিলে জমা হয়েছে অর্থাৎ রিজার্ভে 300 মিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়েছে প্রায় ২ ডিজিটের। অর্থনীতিবিদরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুত বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে এমনকি অর্থনৈতিকভাবে আরো সফল হবে। এর মধ্যে আরেকটি বিষয় জানা গেছে চীন শুল্কমুক্ত করে দিচ্ছে বিভিন্ন পণ্যগুলোর উপরে। যার কারণে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন একটি অধ্যায় শুরু হতে পারে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য।

অন্যদিকে মার্কের যুক্তরাষ্ট্র ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে এবং অনেক সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। এমনটাই বলছে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। আর এই ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগবে না বলে ধারণা করছে সাধারণ মানুষ। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি জানান অন্তর্বর্তী সরকার ের প্রথম সাক্ষাতে আমরা বেশ আনন্দিত। আমরা এ সরকারের সাথে কাজ করতে চাই এবং পরবর্তী সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা বিভিন্ন চুক্তি অনুসারে কাজ করতে আগ্রহী।

• চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন একটি সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। আর একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক স্থাপন হবে ও নানা ধরনের প্রকল্প আসতে পারে বলে ধারণা করছে সাধারণ মানুষ। তবে যাই হোক দেশের অগ্রগতি হোক এটাই জনসাধারণের কাম্য এবং তারা আশাবাদী।