ওজন কমাতে কার্যকরী কিছু সহজ টিপস জেনে নিন

দৈনন্দিন জীবনে বর্তমানে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। এটা আমাদের শারীরিকভাবে সুস্থতা দান করে, সেই সাথে মানসিক প্রশান্তি ঘটায়। তাই ওজন কমাতে আমাদের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা খুবই জরুরী। আজকে আমরা সেই বিষয় সম্পর্কে জানব।

সকালের নাস্তায় পরিপূর্ণ খাবার খাওয়া

দিনের শুরুটা হয় আমাদের সকাল দিয়ে, তাই সকালের নাস্তায় থাকতে হবে পরিপূর্ণ খাবার। আমরা অনেকেই জেনে থাকি যে অতিরিক্ত খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়, কিন্তু আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিপূর্ণভাবে খেতে পারেন তাহলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে। সেই সাথে আপনার মন প্রফুল্ল থাকবে এতে করে আপনি কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন। তাই সবার আগে আপনার খাদ্যাভাসে আনতে হবে পরিবর্তন।

সকালে নাস্তায় আপনি যে সকল খাবার খেতে পারেন:

  • ঘুম থেকে উঠে আপনি শুরুতে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু, চিয়া সিড অথবা মধু আপনার পছন্দমত যে কোন একটা ড্রিংকস আপনি খেতে পারেন।
  • এরপর খাদ্যের তালিকায় রাখতে পারেন ডিম,দুধ, বিভিন্ন রকমের ফল অথবা আপনার পছন্দের শুকনো খাবার।
  • দুপুর এবং রাতের খাবারে আপনি পরিমিত খাবার খাবেন এবং তাতে শাকসবজি অথবা মাছ-মাংস রাখতে পারবেন।
  • সর্বশেষ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এটি ওজন কমাতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

শরীরচর্চায় অভ্যাস গড়ে তোলা

খাদ্যাভাসের পাশাপাশি শরীরচর্চায় অভ্যাস গড়ে তোলাটা খুবই জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে আপনি ঘরে বসেই কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত নিজেকে শরীরচর্চায় সময় দিন এতে করে আপনার শরীরের মেদ কমতে সাহায্য করবে। স্বাভাবিকভাবে মাসে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমানো স্বার্থের জন্য উপকার, তবে যদি কারো এর থেকে অধিক ওজন কমানোর প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।

আপনি চাইলে আপনার কাজ ও চলাফেরার মধ্যে দিয়েও ব্যায়াম করতে পারেন। ধরুন আপনার যদি কোথাও রিক্সার যাতায়াত থেকে থাকে সেই পথটুকু ১০ বা ১৫ মিনিটের হলে আপনি হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তবে আপনি যদি সকালবেলায় ব্যায়াম করে নিতে পারেন তাহলে ধরে নিন আপনার অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।

ঘুমের জন্য সঠিক সময় বাছাই করা

ওজন কমানোর সাথে ঘুমের একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা জানি দৈনিক অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। আট ঘন্টা ঘুম যে কোন সময়ে ঘুমালে যে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে বিষয়টা তা নয়। আপনাকে রাতের খাবার আগেই সেরে ফেলতে হবে, এবং খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর ঘুমোতে হবে। সকালে এমন সময় উঠতে হবে যাতে আপনি আপনার প্রার্থনা শেষ করতে পারেন।

ওজন কমাতে কার্যকরী কিছু সহজ টিপস

চিনি যুক্ত খাবার পরিহার করা : শারীরিক সুস্থতার জন্য সকল প্রকার মিষ্টি যুক্ত খাবার থেকে চিনি পরিহার করতে হবে। আপনি যদি চা, কফিতে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে চিনিকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় খেতে ভালো না লাগলেও একটা সময় দেখবেন আপনার চিনি ছাড়াই খেতে ভালো লাগছে।

More: টেলিগ্রাম চ্যানেল কিভাবে কাজ করে

Leave a Comment