বাংলাদেশ ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও পরবর্তী পরিস্থিতি

প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৩:০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও পরবর্তী পরিস্থিতি

আজকের নিউজটি তৈরি করা হচ্ছে মূলত কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও সফলতা সম্পর্কে। এছাড়া জানতে পারবেন এ নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আপডেট বিষয়গুলো যা বর্তমানে সময়ে হচ্ছে। একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব যাতে করে খুব সহজে এ বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যান আপনার আপনারা।

বাংলাদেশের চাকরি পদ্ধতিতে কোটা সিস্টেম চলমান ছিল। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিশেষ সুযোগ সুবিধা বেতন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। তবে সেটি বিলুপ্ত না করে সংস্কারের জন্য আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিতে প্রায় 56 শতাংশ পর্যন্ত কোঠার বিস্তার ছিল। যার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এটি কমানোর জন্য দাবি করে আসছিল। এ দাবি ২০২৪ সালের শুধু নয় প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে তাবিজ করে আসছিল তারা। অবশেষে ২০২৪ সালের আন্দোলনে এটি সফল এবং চূড়ান্তভাবে উপায়। আর তাদের অধিকার আদায় করে নেয় সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা অর্জন করতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তারা মেধা দিয়ে তাদের যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পেতে থাকবে বলে আশা করেন।

কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও পরবর্তী পরিস্থিতি

বিগত বছরগুলোতে অনেক ধরনের আন্দোলন এবং মানববন্ধন চলমান থাকলে ২০২৪ সালের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নেয়। এই সময় চাকরি প্রার্থী এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাঠে নামে অভিভাবকসহ, শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবী মানুষেরা। যার মাধ্যমে তাদের আন্দোলন আরো তীব্র হয় আর দিন দিন জোরালো হতে শুরু করে। এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আন্দোলন জুলাই মাসে ফুলে ফেঁপে করতে শুরু করে। এ আন্দোলনে হামলা দেয় বিশেষ এক গোষ্ঠী। এবং পুলিশের গুলিতে সহ অন্যান্য আক্রমণে সারা বাংলাদেশের প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী মারা যায়। আর কয়েক হাজার মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা আহত হয়ে হাসপাতালে থাকেন।

এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসের শেষ পর্যায়ে দেখে আন্দোলন আর তীব্র হয়। এর মধ্যে সমন্বয়কদেরকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জোর করে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তারা ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে এসে লং মার্চের ডাক দেন। তাদের ডাকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৫ আগস্ট ঢাকায় আসতে শুরু করে। যদিও না এর মধ্যে অনেকগুলো কারফিউ জারি করেছিল। ৫ আগস্ট থাকলেও এটি ভেঙে দিয়ে তারা আন্দোলনের জন্য মাঠে নামে এবং লং মার্চ করেন। ওইদিনই বাংলাদেশের স্বাভাবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে যান। যদিও এটি কোটা সংস্করণ আন্দোলন ছিল কিন্তু শিক্ষার্থীদের হত্যা ও অন্যান্য অধিকার আদায়ের জন্য এক দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং নতুন করে সরকার গঠন করেন।

কোটা সংস্করণ আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতি

যখন আওয়ামী লীগ সরকারের গত ত্যাগ হয়েছে তারপরে দেশের নতুন সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতায় থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বাহিনীগুলো। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের উপর নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত তারা কার্যক্রম চালিয়ে থাকবেন। এখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য সহকারী উপদেষ্টা রয়েছে প্রায় কয়েকজন। যেখানে রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক।

এছাড়াও তাদেরকে সহযোগিতা করবে বা অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে বর্তমানে এ পদ্ধতিতে সরকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আর অন্যান্য সমন্বয়করা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করছে। ফেনী এবং কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যায় কাজ করে গিয়েছেন তারা। তাদের এই কার্যক্রম শুধু বাংলাদেশের মধ্যে নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বের সুনাম অর্জন করিয়েছেন তারা।

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল

পরবর্তী সময়গুলোতে কি হয় তা জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকবেন আপনারা। এখানে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হবে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো। যাতে করে সকল ধরনের হট নিউজ পেয়ে যান সবার পূর্বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও পরবর্তী পরিস্থিতি

আপডেট : ০৩:০৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের নিউজটি তৈরি করা হচ্ছে মূলত কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও সফলতা সম্পর্কে। এছাড়া জানতে পারবেন এ নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আপডেট বিষয়গুলো যা বর্তমানে সময়ে হচ্ছে। একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব যাতে করে খুব সহজে এ বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যান আপনার আপনারা।

বাংলাদেশের চাকরি পদ্ধতিতে কোটা সিস্টেম চলমান ছিল। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিশেষ সুযোগ সুবিধা বেতন নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। তবে সেটি বিলুপ্ত না করে সংস্কারের জন্য আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিতে প্রায় 56 শতাংশ পর্যন্ত কোঠার বিস্তার ছিল। যার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এটি কমানোর জন্য দাবি করে আসছিল। এ দাবি ২০২৪ সালের শুধু নয় প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে তাবিজ করে আসছিল তারা। অবশেষে ২০২৪ সালের আন্দোলনে এটি সফল এবং চূড়ান্তভাবে উপায়। আর তাদের অধিকার আদায় করে নেয় সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা অর্জন করতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তারা মেধা দিয়ে তাদের যোগ্যতা অনুসারে চাকরি পেতে থাকবে বলে আশা করেন।

কোটা সংস্করণ আন্দোলন ও পরবর্তী পরিস্থিতি

বিগত বছরগুলোতে অনেক ধরনের আন্দোলন এবং মানববন্ধন চলমান থাকলে ২০২৪ সালের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নেয়। এই সময় চাকরি প্রার্থী এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাঠে নামে অভিভাবকসহ, শিক্ষক এবং অন্য পেশাজীবী মানুষেরা। যার মাধ্যমে তাদের আন্দোলন আরো তীব্র হয় আর দিন দিন জোরালো হতে শুরু করে। এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আন্দোলন জুলাই মাসে ফুলে ফেঁপে করতে শুরু করে। এ আন্দোলনে হামলা দেয় বিশেষ এক গোষ্ঠী। এবং পুলিশের গুলিতে সহ অন্যান্য আক্রমণে সারা বাংলাদেশের প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী মারা যায়। আর কয়েক হাজার মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা আহত হয়ে হাসপাতালে থাকেন।

এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসের শেষ পর্যায়ে দেখে আন্দোলন আর তীব্র হয়। এর মধ্যে সমন্বয়কদেরকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জোর করে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তারা ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে এসে লং মার্চের ডাক দেন। তাদের ডাকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৫ আগস্ট ঢাকায় আসতে শুরু করে। যদিও না এর মধ্যে অনেকগুলো কারফিউ জারি করেছিল। ৫ আগস্ট থাকলেও এটি ভেঙে দিয়ে তারা আন্দোলনের জন্য মাঠে নামে এবং লং মার্চ করেন। ওইদিনই বাংলাদেশের স্বাভাবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে যান। যদিও এটি কোটা সংস্করণ আন্দোলন ছিল কিন্তু শিক্ষার্থীদের হত্যা ও অন্যান্য অধিকার আদায়ের জন্য এক দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং নতুন করে সরকার গঠন করেন।

কোটা সংস্করণ আন্দোলনের পরবর্তী পরিস্থিতি

যখন আওয়ামী লীগ সরকারের গত ত্যাগ হয়েছে তারপরে দেশের নতুন সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতায় থাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বাহিনীগুলো। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের উপর নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত তারা কার্যক্রম চালিয়ে থাকবেন। এখানে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য সহকারী উপদেষ্টা রয়েছে প্রায় কয়েকজন। যেখানে রয়েছে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক।

এছাড়াও তাদেরকে সহযোগিতা করবে বা অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে বর্তমানে এ পদ্ধতিতে সরকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আর অন্যান্য সমন্বয়করা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করছে। ফেনী এবং কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যায় কাজ করে গিয়েছেন তারা। তাদের এই কার্যক্রম শুধু বাংলাদেশের মধ্যে নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বের সুনাম অর্জন করিয়েছেন তারা।

নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল

পরবর্তী সময়গুলোতে কি হয় তা জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকবেন আপনারা। এখানে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হবে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো। যাতে করে সকল ধরনের হট নিউজ পেয়ে যান সবার পূর্বে।