বাংলাদেশ ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ

প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ

বর্তমান সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারন করছেন অনেকেই। আপনাদের জন্য আমরা এই কারণে হাজির হয়েছে আজ প্রতিকার কিভাবে করবেন সে বিষয় নিয়েও। অর্থাৎ একের ভিতর সব পেয়ে যাচ্ছেন এখান থেকেই সরাসরি ভাবে।

বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে এখন বিদ্যুতের চাহিদা প্রচন্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ হাতের মোবাইল থেকে শুরু করে কল কারখানার যাবতীয় কাজগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ মেশিনারিজের মাধ্যমে। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে সকল ধরনের শিল্পের ব্যবহার করা হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি। ঘুরতে গেলে গত এক যুগে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যার কারণে বিভিন্ন সময় এই লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে যে মানুষ তার সহ্য সেবা বাইরে চলে যাচ্ছে। যার কারণে ভূগোলে ও সার্চ করছে প্রচুর মানুষ এ লোডশেডিং হওয়ার কারণ কি অন্য অন্যান্য বিষয়গুলো। চলুন আজকে আমরা এ বিষয়গুলো দেখিনিই।

ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে যে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সে বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই। অর্থাৎ যত পরিমান বিদ্যুতের দরকার তার থেকে তুলনামূলক কোন উৎপাদন হচ্ছে এবং সাপ্লাই হচ্ছে। যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে প্রচন্ড পরিমাণে। দেখা যাচ্ছে শহরের তুলনায় গ্রামের লোডশেডিং এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এবং সমস্যায় ভুগে থাকে। এ লোডশেডিং হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণরূপে। যেখান থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো। আর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার কারণে সারা বাংলাদেশে ২৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। শুধু তাই নয় ভারতের আদানী গ্রুপ বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ দিয়েছে যার কারণে এই সমস্যাটি আরো তীব্র হয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধ সাপ্লাই বন্ধ করার কারণ হচ্ছে পূর্বের অর্থ বকেয়া রয়েছে। এই বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হলে তারপরে আবার সাপ্লাই করবে তারা।

এছাড়াও গরমের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পূর্বে শুধুমাত্র গ্রামের দিকে লোডশেডিং দেখা দিল এখন শহরের দিকে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। তবে খুব দ্রুত করতে পক্ষের সমস্যাটির সমাধান করার চেষ্টা করছে এবং দ্রুত আগের মত ফেরত যাবেন।

লোডশেডিং থেকে বাঁচার উপায়

ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে যে সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে সেটি হচ্ছে অতিরিক্ত গরম এবং ফ্রিল্যান্সারদের। কেননা যারা ফ্রেন্ডশিপ করে তাদের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট কানেকশন ও কম্পিউটারে ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়ে থাকে। এজন্য তারা ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের আইপিএস। যাদের বাজেট একদম কম দশ হাজার টাকার মধ্যে তারা বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন কিছু উপায়। যেমন এক্ষেত্রে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো ধরনের ১২০ এম্পিয়ারের পাউডার ব্যাটারি। যার মাধ্যমে ব্যাকআপ পাবেন কম্পিউটার রাউটার অনুসহ প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে খরচ হবে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।

এছাড়াও যাদের বাজেট একটু বেশি তারা ব্যবহার করতে পারেন সোলার প্যানেল সিস্টেম। সে ক্ষেত্রে ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র চালানোর জন্য মোট খরচ হতে পারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মত। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যাক আপসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো যেখানে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লোডশেডিং হয়ে থাকে। আর যাদের বাজেট তুলনামূলকভাবে বেশি এবং স্বল্প সময়ের জন্য লোডশেডিং হয়। তারা ব্যবহার করতে পারেন আইপিএস। বলতো এই সকল উপায়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ থেকে রক্ষা পাবেন।

তবে বর্তমানে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষরা এ সমস্যা দুটো সমর্থনের চেষ্টা করছে। আর এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হলে পূর্বের মতো আবার স্বস্তি আসবে। অন্যদিকে সামনে আসছে শীত আর এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেলেও সঠিক পরিমাণ কমে যাবে বলে আশা করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ

আপডেট : ০২:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বর্তমান সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারন করছেন অনেকেই। আপনাদের জন্য আমরা এই কারণে হাজির হয়েছে আজ প্রতিকার কিভাবে করবেন সে বিষয় নিয়েও। অর্থাৎ একের ভিতর সব পেয়ে যাচ্ছেন এখান থেকেই সরাসরি ভাবে।

বাংলাদেশ সহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে এখন বিদ্যুতের চাহিদা প্রচন্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ হাতের মোবাইল থেকে শুরু করে কল কারখানার যাবতীয় কাজগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ মেশিনারিজের মাধ্যমে। আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে সকল ধরনের শিল্পের ব্যবহার করা হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি। ঘুরতে গেলে গত এক যুগে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যার কারণে বিভিন্ন সময় এই লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে যে মানুষ তার সহ্য সেবা বাইরে চলে যাচ্ছে। যার কারণে ভূগোলে ও সার্চ করছে প্রচুর মানুষ এ লোডশেডিং হওয়ার কারণ কি অন্য অন্যান্য বিষয়গুলো। চলুন আজকে আমরা এ বিষয়গুলো দেখিনিই।

ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ

বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে যে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সে বিদ্যুৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই। অর্থাৎ যত পরিমান বিদ্যুতের দরকার তার থেকে তুলনামূলক কোন উৎপাদন হচ্ছে এবং সাপ্লাই হচ্ছে। যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে প্রচন্ড পরিমাণে। দেখা যাচ্ছে শহরের তুলনায় গ্রামের লোডশেডিং এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এবং সমস্যায় ভুগে থাকে। এ লোডশেডিং হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণরূপে। যেখান থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হতো। আর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার কারণে সারা বাংলাদেশে ২৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। শুধু তাই নয় ভারতের আদানী গ্রুপ বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ দিয়েছে যার কারণে এই সমস্যাটি আরো তীব্র হয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধ সাপ্লাই বন্ধ করার কারণ হচ্ছে পূর্বের অর্থ বকেয়া রয়েছে। এই বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা হলে তারপরে আবার সাপ্লাই করবে তারা।

এছাড়াও গরমের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। পূর্বে শুধুমাত্র গ্রামের দিকে লোডশেডিং দেখা দিল এখন শহরের দিকে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। তবে খুব দ্রুত করতে পক্ষের সমস্যাটির সমাধান করার চেষ্টা করছে এবং দ্রুত আগের মত ফেরত যাবেন।

লোডশেডিং থেকে বাঁচার উপায়

ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে যে সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে সেটি হচ্ছে অতিরিক্ত গরম এবং ফ্রিল্যান্সারদের। কেননা যারা ফ্রেন্ডশিপ করে তাদের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট কানেকশন ও কম্পিউটারে ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়ে থাকে। এজন্য তারা ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের আইপিএস। যাদের বাজেট একদম কম দশ হাজার টাকার মধ্যে তারা বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন কিছু উপায়। যেমন এক্ষেত্রে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো ধরনের ১২০ এম্পিয়ারের পাউডার ব্যাটারি। যার মাধ্যমে ব্যাকআপ পাবেন কম্পিউটার রাউটার অনুসহ প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে খরচ হবে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।

এছাড়াও যাদের বাজেট একটু বেশি তারা ব্যবহার করতে পারেন সোলার প্যানেল সিস্টেম। সে ক্ষেত্রে ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র চালানোর জন্য মোট খরচ হতে পারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মত। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যাক আপসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো যেখানে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লোডশেডিং হয়ে থাকে। আর যাদের বাজেট তুলনামূলকভাবে বেশি এবং স্বল্প সময়ের জন্য লোডশেডিং হয়। তারা ব্যবহার করতে পারেন আইপিএস। বলতো এই সকল উপায়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার কারণ থেকে রক্ষা পাবেন।

তবে বর্তমানে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষরা এ সমস্যা দুটো সমর্থনের চেষ্টা করছে। আর এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হলে পূর্বের মতো আবার স্বস্তি আসবে। অন্যদিকে সামনে আসছে শীত আর এই সময় বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেলেও সঠিক পরিমাণ কমে যাবে বলে আশা করা যায়।